All Latest Blog

ভাবচাচক বিশেষ্য; যৌগিক ক্রিয়া; মিশ্রক্রিয়া- নির্ণয়ের টেকনিক, পড়লেই মুখস্থ!
ভাবচাচক বিশেষ্য; যৌগিক ক্রিয়া; মিশ্রক্রিয়া- নির্ণয়ের টেকনিক, পড়লেই মুখস্থ!

ভাবচাচক বিশেষ্য; যৌগিক ক্রিয়া; মিশ্রক্রিয়া- নির্ণয়ের টেকনিক, পড়লেই মুখস্থ!জানতে চেয়েছেন, @ABDULLAH ARMAN নামের এক ভাই। তাই রিপ্লাই না দিয়ে আপনাদের কথা বিবেচনা করে সরাসরি পোস্ট করে ফেললাম।ভাববাচক বা ক্রিয়া বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোন ক্রিয়া বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: গমন, দর্শন, ভোজন, শয়ন, চলন, পঠন, করা, দেখা, পড়া, বলা, খাওয়া, দেওয়া, নেওয়া, যাওয়া, করানো, নামানো, পড়ানো ইত্যাদি।TechniQue:ধাতু + আ/অন/আনো = ভাববাচক বিশেষ্য।যেমন: দেখা (দেখ্ + আ); খাওয়া (খা + আ); গমন (গম্ + অন); করানো (কর্ + আনো)। এভাবে উপরের সবগুলোই হবে।যৌগিক ক্রিয়া: একটি সমাপিকা ক্রিয়া ও একটি অসমাপিকা ক্রিয়া যদি একত্র একটি বিশেষ বা সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে তবে তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন: পাকা আমটি খেয়ে ফেল। এই বাক্যে ‘খেয়ে ফেল’ যৌগিক ক্রিয়া।TechniQue:অসমাপিকা ক্রিয়া + সমাপিকা ক্রিয়া = যৌগিক ক্রিয়া।যেমন: পাকা আমটি খেয়ে ফেল। এখানে ‘খেয়ে ফেল’ (অসমাপিকা + সমাপিকা) = যৌগিক ক্রিয়া। এভাবে সকল উদাহরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।মিশ্র ক্রিয়া: বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বন্যাত্বক অব্যয়ের সঙ্গে কর, হ্, দে, পা, যা, কাট্, গা, ছাড়, র্ধ, র্মা প্রভৃতি ধাতুযোগ গঠিত ক্রিয়াপদ বিশেষ বিশেষ অর্থে মিশ্র ক্রিয়া গঠন করে। যেমন:বিশেষ্যের পরে: আমরা তাজমহল দর্শন করলাম।বিশেষণের পরে: তোমাকে দেখে বিশেষ প্রীত হলাম।ধ্বন্যাত্বক অব্যয়ের পরে: মাথা ঝিম ঝিম্ করছে।TechniQue:বিশেষ্য/বিশেষণ/ ধ্বন্যাত্বক + ক্রিয়াপদ = মিশ্রক্রিয়া।যেমন: আমরা তাজমহল দর্শন করলাম। এখানে ‘দর্শন’ বিশেষ্য পদ (ভাববাচব বিশেষ্য-উপরে দেখুন) এবং ‘করলাম’ ক্রিয়াপদ = মিশ্রক্রিয়া।এভাবে, প্রীত (বিশেষণ) হলাম (ক্রিয়াপদ) - একত্র মিশ্রক্রিয়া। ঝিম ঝিম (অনুকার/ধ্বন্যাত্মক) করছে (ক্রিয়াপদ) - একত্র মিশ্রক্রিয়া।

পূর্বাহ্ণ, প্রাহ্ণ, মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ ও সায়াহ্ন এই ৬টি বানান মনে রাখার সূত্র।
পূর্বাহ্ণ, প্রাহ্ণ, মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ ও সায়াহ্ন এই ৬টি বানান মনে রাখার সূত্র।

পূর্বাহ্ণ, প্রাহ্ণ, মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ ও সায়াহ্ন এই ৬টি বানান মনে রাখার সূত্র।[সাধারণত প্রায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ৬টি বানান ঝামেলা সৃষ্টি করে। মূলত এই শব্দের বানানগুলোতে ‘ন’ বা ‘ণ’ বর্ণটি নিচে না উপরে সেটি বেশি দ্বিধা তৈরি করে। সুতরাং যাঁরা একেবারে মনে রাখতে পারেন না তাদের উদ্দেশ্যে একটা সূত্রের সাহায্যে বোঝানোর চেষ্টা করছি। চিত্র অনুযায়ী ব্যাখ্যা পড়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি এরপর থেকে আর ভুল হবে না এই ৬টি বানানে ]চিত্রের ব্যাখ্যা: (চিত্রানুযায়ী মিলিয়ে মিলিয়ে পড়বেন)১। ‘পূর্বাহ্ণ’ ও ‘প্রাহ্ন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রাতঃকাল বা দিনের পূর্বভাগ অর্থাৎ সকালবেলা। এসময় সূর্য নিচে থাকে তাই ‘পূর্বাহ্ণ’ ও ‘প্রাহ্ণ’ বানানে ‘মূর্ধন্য-ণ’ বর্ণটি হ-বর্ণের নিচে হবে।২। ‘মধ্যাহ্ন’ হচ্ছে দিনের মধ্যভাগ অর্থাৎ দুপুরবেলা। এসময় সূর্য উপরে থাকে তাই শব্দটির বানানে দন্ত্য-ন বর্ণটি উপরে থাকবে; ‘হ’ বর্ণের সাথে।৩। ‘অপরাহ্ণ’ ও 'পরাহ্ণ' শব্দের অর্থ হচ্ছে দিনের শেষভাগ অর্থাৎ বিকেলবেলা। এসময় সূর্য নিচে থাকে তাই অপরাহ্ণ বানানে ‘মূর্ধন্য-ণ’ বর্ণটি হ-বর্ণের নিচে হবে।৪। 'সায়াহ্ন' শব্দটি অন্য রকমভাবে মনে রাখতে হবে। ‘সায়াহ্ন’ শব্দের অর্থ সন্ধ্যা। এটি দিন ও রাতের মধ্যভাগ। তাই শব্দটির বানানে ‘দন্ত্য-ন’ বর্ণটি হ-বর্ণের সাথে মধ্যে হবে।বিশেষ দ্রষ্টব্য: চিত্রের 'ব্যতিক্রম' বানানটি 'ব্যাতিক্রম' ভুল হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।এই লিখাটি অনেকটাই ড. মোহম্মদ আমীন স্যারের অনুকরণে লিখা।

"‘কারী’ না ‘কারি’? বাংলায় সঠিক ব্যবহার ও নিয়ম"
"‘কারী’ না ‘কারি’? বাংলায় সঠিক ব্যবহার ও নিয়ম"

শেষে কারি; কারী নির্ণয়ের কৌশল→ সহকারি নাকি সহকারী? → সরকারি নাকি সরকারী? এরূপ অনেক শব্দ আছে যা আমরা প্রায় সময় ভুল করে থাকি। কখন ‘ই-কার’ আর কখন ‘ঈ-কার’ হবে তা নিয়ে দুটি নিয়ম বলব একটি বেসিক নিয়ম আর আরেকটি মনে রাখার টেকনিক। সুতরাং আশা করা যায় আজকে থেকে আর এটি ভুল হবে না।বেসিক নিয়ম: অ-তৎসম (অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব বা বাংলা, দেশি, বিদেশি) শব্দে ‘ই-কার’ হবে আর কেবল তৎসম শব্দে ‘ঈ-কার’ হবে। যেমন— ‘সহকারী’ শব্দটি তৎসম ভাষার শব্দ তাই ঈ-কার হয়েছে। এরূপ— অধিকারী, উপকারী, অপকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, বহনকারী, শ্রবণকারী, নির্মাণকারী ইত্যাদি। অন্যদিকে— ‘সরকারি’ শব্দটি অ-তৎসম (ফারসি) ভাষার শব্দ তাই ই-কার হবে। এরূপ— সরকারি, দরকারি, তরকারি, পাইকারি ইত্যাদি।অতিরিক্ত তথ্য: ‘ঈ-কার’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দের সঙ্গে ‘গণ’ যোগ করলে ঈ-কারের পরিবর্তে ই-কার হবে। যেমন— সহকারী > সহকারিগণ, আবেদনকারী > আবেদনকারিগণ ইত্যাদি।টেকনিক পার্ট —→ শব্দটি ব্যক্তিবাচক হলে 'কারী' হবে। যেমন— সহকারী, অধিকারী, উপকারী, অপকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, বহনকারী, শ্রবণকারী, নির্মাণকারী ইত্যাদি। আর শব্দটি বস্তুবাচক হলে 'কারি' হবে। যেমন— সরকারি, দরকারি, তরকারি, পাইকারি ইত্যাদি।

একই নিয়মে সন্ধি ও বানান [গুরুত্বপূর্ণ]
একই নিয়মে সন্ধি ও বানান [গুরুত্বপূর্ণ]

একই নিয়মে সন্ধি ও বানান [গুরুত্বপূর্ণ]→ অত্যাধিক নাকি অত্যধিক? → অধ্যাবসায় নাকি অধ্যবসায়? → ব্যাবসায় নাকি ব্যবসায়? → ব্যাখ্যা নাকি ব্যখ্যা? → ব্যাহত নাকি ব্যহত? বেশ কিছুদিন থেকে পাঠকরা একটি বানানের নিয়ম জানতে চাচ্ছে, সেটি হলো শব্দের শুরুতে কখন ‘ব্য’ এবং কখন ‘ব্যা’— এর নিয়ম। এই নিয়মটির জন্য অনেক শিক্ষার্থী আমার গ্রুপসহ অনেক গ্রুপেও প্রশ্ন করছেন। কিন্তু লক্ষ করে দেখলাম পাঠকরা আশানুরূপ ব্যাখ্যা পাচ্ছে না। আজকে আপনাদের এই ‘ব্য’ এবং ‘ব্যা’-সহ আরও যে সকল শব্দের বানানে কখন য-ফলা (্য)’র পরে আ-কার (া) হবে আর কখন আ-কার (া) হবে না, তা একটি খুব সহজ সূত্র দিয়ে বুঝাতে পারব ইনশআল্লাহ।[প্রথমে বলে রাখা ভালো, সন্ধি বানান শুদ্ধিকরণের একটি বৃহৎ অংশ। সুতরাং সন্ধি-বিচ্ছেদের নিয়ম দিয়ে অনেক বানান শুদ্ধি করা যায়; আজকের নিয়মটিও এর ব্যতিক্রম নয়।]→ নিয়ম: সন্ধি-বিচ্ছেদের নিয়মানুসারে— যদি কোনো শব্দে য-ফলা (্য) থাকে তাহলে তার বিচ্ছেদে সেই য-ফলা (্য)’র স্থলে ই-কার এবং পরের অংশে সাধারণত অর্থবোধক শব্দ হবে।→ নিয়মের শর্টকাট: য-ফলা (্য) = ( ি) + অর্থবোধক শব্দ।এবার উপরের বানানগুলো দেখা যাক—১। অত্যাধিক নাকি অত্যধিক? প্রথমে দুটি শব্দকে নিয়ম দিয়ে ভেঙে নিব। অত্যাধিক = অতি + আধিক; অত্যধিক = অতি + অধিক [বলে রাখা ভলো, য-ফলা (্য)’র পরে কোনো কার না থাকলে বিচ্ছেদের পরের শব্দের শুরুতে অতিরিক্ত একটি ‘অ’ যুক্ত হবে, তাই অ+ধিক (অধিক) হয়েছে।] এবার লক্ষ করুন, সন্ধি বিচ্ছেদের পরের অংশের দুটি শব্দ ‘আধিক’ ও ‘অধিক’। সূত্রানুসারে— শব্দ দুটির মধ্যে ‘আধিক’ শব্দটি অর্থবোধক নয়, তাই ‘অত্যাধিক’ বানান ভুল। অন্যদিক— ‘অধিক’ শব্দটি অর্থবোধক তাই ‘অত্যধিক’ বানানটি শুদ্ধ।২। অধ্যাবসায় নাকি অধ্যবসায়? অধ্যাবসায় = অধি + আবসায়; অধ্যবসায় = অধি + অবসায় (য-ফলার পরে কার না থাকলে অতিরিক্ত ‘অ’ পাব)। সুত্রানুসারে— ‘আবসায়’ শব্দটি অর্থবোধক নয়; তাই ‘অধ্যাবসায়’ বানান ভুল। অন্যদিক— ‘অবসায়’ শব্দটি অর্থবোধক তাই ‘অধ্যবসায়’ বানানটি শুদ্ধ।৩। ব্যাবসায় নাকি ব্যবসায়? ব্যাবসায় = বি + আবসায়; ব্যবসায় = বি + অবসায় (য-ফলার পরে কার না থাকলে অতিরিক্ত ‘অ’ পাব)। সূত্রানুসারে— ‘আবসায়’ শব্দটি অর্থবোধক নয়; তাই ‘ব্যাবসায়’ বানান ভুল। অন্যদিক— ‘অবসায়’ শব্দটি অর্থবোধক তাই ‘ব্যবসায়’ বানানটি শুদ্ধ।৪। ব্যাখ্যা নাকি ব্যখ্যা? ব্যাখ্যা = বি + আখ্যা; ব্যখ্যা = বি + অখ্যা (য-ফলার পরে কার না থাকলে অতিরিক্ত ‘অ’ পাব)। সূত্রানুসারে— ‘আখ্যা’ শব্দটি অর্থবোধক তাই ‘ব্যাখ্যা’ বানানটি শুদ্ধ। অন্যদিকে— ‘অখ্যা’ শব্দটি অর্থবোধক নয়; তাই ‘ব্যখ্যা’ বানানটি ভুল।৫। ব্যাহত নাকি ব্যহত? ব্যাহত = বি + আহত; ব্যহত = বি + অহত (য-ফলার পরে কার না থাকলে অতিরিক্ত ‘অ’ পাব)। সূত্রানুসারে— ‘আহত’ শব্দটি অর্থবোধক তাই ‘ব্যাহত’ শব্দটি শুদ্ধ। অন্যদিকে— ‘অহত’ শব্দটি অর্থবোধক নয়; তাই ‘ব্যহত’ বানানটি ভুল।উপরের নিয়মানুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলি দেওয়া হলো—অধ্যক্ষ (অক্ষ), অধ্যয়ন (অয়ন), অধ্যাদেশ (আদেশ), অধ্যায় (আয়), ব্যতীত (অতীত), ব্যতিক্রম (অতিক্রম), ব্যর্থ (অর্থ), ব্যয় (অয়), ব্যগ্র (অগ্র), ব্যক্ত (অক্ত), ব্যক্তি (অক্ত+ই), ব্যঞ্জন (অঞ্জন), ব্যধিকরণ (অধিকরণ), ব্যতিহার (অতিহার), ব্যবহার (অবহার), ব্যবস্থা (অবস্থা), ব্যবচ্ছেদ (অবচ্ছেদ), ব্যাকুল (আকুল), ব্যাকরণ (আকরণ), ব্যাঘাত (আঘাত), ব্যাকুতি (আকুতি), ব্যারাম (আরাম), ব্যাহার (আহার), ব্যাহরণ (আহরণ), ব্যাবর্তন (আবর্তন), ব্যাধি (আধি)।ব্যতিক্রম-০১: ব্যথা, ব্যথিত।ব্যতিক্রম-০২: বিদেশি শব্দের বানানের উচ্চারণ অনুযায়ী ‘ব্যা’ হবে। যেমন— ব্যাংক, ব্যাট, ব্যাগ, ব্যান্ড, ব্যানার, ব্যান্ডেজ, ব্যাটারি, ব্যারিস্টার, ব্যালট, ব্যারোমিটার।

হিতৈষী শব্দের সন্ধি ও ‘এ মাটি সোনার বাড়া’ উদ্ধৃতির বিশ্লেষণ
হিতৈষী শব্দের সন্ধি ও ‘এ মাটি সোনার বাড়া’ উদ্ধৃতির বিশ্লেষণ

গত কয়েকদিন আগে এক পাঠক ভাই (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ২টি প্রশ্ন করেছেন। নিম্নে প্রশ্ন ২টি দেওয়া হলো—প্রশ্ন-০১:‘হিতৈষী’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ— (হিত + এষী) না কি (হিত + ঐষী)?প্রশ্ন-০২:‘এ মাটি সোনার বাড়া’— এ উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?— উত্তর: বিশেষণের অতিশায়ন। কিন্তু কীভাবে এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা লাগবে, স্যার।১ম প্রশ্নের ব্যাখ্যা ও সঠিক উত্তর:‘হিতৈষী’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ নির্ণয় করতে গিয়ে সাধারণত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ভুল করতে দেখা যায়। যেমন: হিত + ঐষী নাকি হিত + এষী। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোনটি শুদ্ধ—‘হিতৈষী’ শব্দের অর্থ মঙ্গল করতে ইচ্ছুক এমন। আর ‘এষা’ শব্দটির অর্থ কামনা এবং ‘এষী’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে- কামনাকারী। তবে ‘ঐষী’ বলে বাংলা ভাষায় কোনো অর্থবোধক শব্দ নেই। যেহেতু ‘ঐষী’ শব্দের অর্থ নেই, সেহেতু ‘ঐষী’ শব্দটি সাধারণভাবেই বাদ পড়বে। সুতরাং হিতৈষী = হিত + এষী। অর্থগতভাবে- হিতৈষী (হিত + এষী) শব্দের অর্থ দাঁড়ালো মঙ্গল কামনাকারী।অতিরিক্ত তথ্য: ‘এষা’ নামক কাব্যটি লিখেছেন অক্ষয়কুমার বড়াল।২য় প্রশ্নের ব্যাখ্যা ও সঠিক উত্তর:কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতায় দরিদ্র উপেনের শেষ সম্বল ছিল দুই বিঘা জমি। আর এই জমিতে তাদের সাত পুরুষের স্মৃতি জড়িয়ে আছে এবং এই জমিটি তার কাছে সোনার চেয়েও অধিক মূল্যবান। উপেন এবং তার বংশধরদের পুরোনো স্মৃতিতে পরিপূর্ণ এ জমি তার কাছে সোনার বা যেকোন ধন-সম্পদের ঊর্ধ্বে বোঝাতে সোনার বাড়া কথাটি ব্যবহার হয়েছে।‘এ মাটি সোনার বাড়া’— শব্দটি খাঁটি বাংলা শব্দের অতিশায়ন। বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা ,পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে, তাকে বিশেষণের অতিশায়ন বলে। কখনো কখনো ৬ষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দে ৬ষ্ঠী বিভক্তিই চেয়ে, থেকে শব্দের কার্যসাধন করে। এখানে মাটিকে সোনার চেয়ে বড় বা মূল্যবান মনে করা হয়েছে। তাই উপরিউক্ত ‘এ মাটি সোনার বাড়া’— এ উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ বিশেষণের অতিশায়ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।আশা করি ব্যাখ্যা ২টি আপনি খুব সুন্দর বুঝতে পেরেছেন এবং আপনার জানার আগ্রহের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।

‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ: ‘দম্+শন’ না কি ‘দন্+শন’ হবে??
‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ: ‘দম্+শন’ না কি ‘দন্+শন’ হবে??

‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ: ‘দম্+শন’ না কি ‘দন্+শন’ হবে??‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ নির্ণয় প্রথম এসেছিল প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২০০৯ সালে। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরে পূর্বপদে ‘দম্’ হবে নাকি ‘দন্’ হবে, সেটিই আসল বিষয়!সন্ধি-বিচ্ছেদের নিয়মানুযায়ী: সন্ধিবদ্ধপদে নাসিক্য বর্ণ (ঙ, ঞ, ন, ম, ং) থাকলে বিচ্ছেদে তার স্থলে (ম্) হয় এবং অন্যসব ঠিক থাকে। যেমন:সংবিধান = সম্ + বিধান (ং = ম্)শঙ্কা = শম্ + কা (ঙ্ = ম্)সঞ্চয় = সম্ + চয় (ঞ্ = ম্)সম্মান = সম্ + মান (ম্ = ম্) ইত্যাদি।সাইড ইফেক্ট (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া)উপরিউক্ত নিয়মের মধ্যে আরেকটি নিয়ম আছে। সেটিকে আমি সাইড-ইফেক্ট বলে থাকি। নিম্নে তুলে ধরা হলো:সাইড-ইফেক্ট নিয়ম: সন্ধিপদের ২য় পদের ১ম বর্ণ উষ্মধ্বনি (শ, স, হ) থাকলে তার পূর্বে ‘ম্‘ না হয়ে ‘ন্‘ হয়। যেমন: দংশন = দন্+শন; এখানে ‘দংশন’ সন্ধিবদ্ধ পদের ২য় পদের ১ম বর্ণ উষ্মধ্বনি (শ) থাকায় পূর্বে ‘ম্’ না হয়ে ‘ন্’ হয়েছে, অর্থাৎ দংশন = দন্ + শন (দম্ + শন হবে না)। অনুরূপভাবে-হিংসা = হিন্ + সা,সিংহ = সিন্ + হ,জিঘাংসা = জিঘান্ + সা,বৃংহিত = বৃন্ + হতি।সূত্র: ভাষা প্রকাশ বাঙ্গলা ব্যাকরণ, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, জ্যোতিভূষণ চাকী; ব্যাকরণ মঞ্জরী, ড. মুহম্মদ এনামুল হকসতর্কতা ও সাবধানতা‘সম’ উপসর্গের ক্ষেত্রে উষ্মধ্বনির আগে ‘ন্’ বিষয়টি প্রযোজ্য নয়, সেক্ষেত্রে উপসর্গে ‘ম্’ থাকায় সন্ধিতেও ‘ম্’-ই থাকবে। উদাহরণ: সংসদ, সংসার, সংশোধন, সংশয়, সংহার ইত্যাদি। লক্ষ করুন, উদাহরণগুলোতে ‘ং’ এর পর উষ্মধ্বনি ‘স’, ‘শ’, ‘হ’—থাকলেও ‘সম’ উপসর্গের কারণে ‘ন’ না হয়ে ‘ম’ হয়েছে।সব কথার এক কথা: নিয়ম জানতে পারলেন এবং আত্মতৃপ্তি পেলেন, আলহামদুল্লিহ। এখন কথা হচ্ছে ৩ মাস বা ৬ মাস পরে পরীক্ষায় আসলে মনে থাকবে কিনা তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই সহজভাবে মনে রাখুন, দংশন, সিংহ, হিংসা, বৃংহতি—শব্দের বিচ্ছেদে ‘ন্’ হয়। শ্যাষ!!!

জাতীয় সমস্যা: ‘দ্বৈপায়ন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদে অয়ন নাকি আয়ন?
জাতীয় সমস্যা: ‘দ্বৈপায়ন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদে অয়ন নাকি আয়ন?

দ্বৈপায়ন শব্দের সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো দ্বীপ + আয়ন। এখানে ‘আয়ন’ যুক্ত হওয়ায় আদিস্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঈ’ থেকে ‘ঐ’ হয়েছে।

বই ও কোর্স বিষয়ে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি?
WhatsApp