Posts tagged: "বিসিএস_প্রস্তুতি"

পূর্বাহ্ণ, প্রাহ্ণ, মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ ও সায়াহ্ন এই ৬টি বানান মনে রাখার সূত্র।
পূর্বাহ্ণ, প্রাহ্ণ, মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ ও সায়াহ্ন এই ৬টি বানান মনে রাখার সূত্র।

পূর্বাহ্ণ, প্রাহ্ণ, মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ণ, পরাহ্ণ ও সায়াহ্ন এই ৬টি বানান মনে রাখার সূত্র।[সাধারণত প্রায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ৬টি বানান ঝামেলা সৃষ্টি করে। মূলত এই শব্দের বানানগুলোতে ‘ন’ বা ‘ণ’ বর্ণটি নিচে না উপরে সেটি বেশি দ্বিধা তৈরি করে। সুতরাং যাঁরা একেবারে মনে রাখতে পারেন না তাদের উদ্দেশ্যে একটা সূত্রের সাহায্যে বোঝানোর চেষ্টা করছি। চিত্র অনুযায়ী ব্যাখ্যা পড়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি এরপর থেকে আর ভুল হবে না এই ৬টি বানানে ]চিত্রের ব্যাখ্যা: (চিত্রানুযায়ী মিলিয়ে মিলিয়ে পড়বেন)১। ‘পূর্বাহ্ণ’ ও ‘প্রাহ্ন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রাতঃকাল বা দিনের পূর্বভাগ অর্থাৎ সকালবেলা। এসময় সূর্য নিচে থাকে তাই ‘পূর্বাহ্ণ’ ও ‘প্রাহ্ণ’ বানানে ‘মূর্ধন্য-ণ’ বর্ণটি হ-বর্ণের নিচে হবে।২। ‘মধ্যাহ্ন’ হচ্ছে দিনের মধ্যভাগ অর্থাৎ দুপুরবেলা। এসময় সূর্য উপরে থাকে তাই শব্দটির বানানে দন্ত্য-ন বর্ণটি উপরে থাকবে; ‘হ’ বর্ণের সাথে।৩। ‘অপরাহ্ণ’ ও 'পরাহ্ণ' শব্দের অর্থ হচ্ছে দিনের শেষভাগ অর্থাৎ বিকেলবেলা। এসময় সূর্য নিচে থাকে তাই অপরাহ্ণ বানানে ‘মূর্ধন্য-ণ’ বর্ণটি হ-বর্ণের নিচে হবে।৪। 'সায়াহ্ন' শব্দটি অন্য রকমভাবে মনে রাখতে হবে। ‘সায়াহ্ন’ শব্দের অর্থ সন্ধ্যা। এটি দিন ও রাতের মধ্যভাগ। তাই শব্দটির বানানে ‘দন্ত্য-ন’ বর্ণটি হ-বর্ণের সাথে মধ্যে হবে।বিশেষ দ্রষ্টব্য: চিত্রের 'ব্যতিক্রম' বানানটি 'ব্যাতিক্রম' ভুল হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।এই লিখাটি অনেকটাই ড. মোহম্মদ আমীন স্যারের অনুকরণে লিখা।

‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ: ‘দম্+শন’ না কি ‘দন্+শন’ হবে??
‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ: ‘দম্+শন’ না কি ‘দন্+শন’ হবে??

‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ: ‘দম্+শন’ না কি ‘দন্+শন’ হবে??‘দংশন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ নির্ণয় প্রথম এসেছিল প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ২০০৯ সালে। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরে পূর্বপদে ‘দম্’ হবে নাকি ‘দন্’ হবে, সেটিই আসল বিষয়!সন্ধি-বিচ্ছেদের নিয়মানুযায়ী: সন্ধিবদ্ধপদে নাসিক্য বর্ণ (ঙ, ঞ, ন, ম, ং) থাকলে বিচ্ছেদে তার স্থলে (ম্) হয় এবং অন্যসব ঠিক থাকে। যেমন:সংবিধান = সম্ + বিধান (ং = ম্)শঙ্কা = শম্ + কা (ঙ্ = ম্)সঞ্চয় = সম্ + চয় (ঞ্ = ম্)সম্মান = সম্ + মান (ম্ = ম্) ইত্যাদি।সাইড ইফেক্ট (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া)উপরিউক্ত নিয়মের মধ্যে আরেকটি নিয়ম আছে। সেটিকে আমি সাইড-ইফেক্ট বলে থাকি। নিম্নে তুলে ধরা হলো:সাইড-ইফেক্ট নিয়ম: সন্ধিপদের ২য় পদের ১ম বর্ণ উষ্মধ্বনি (শ, স, হ) থাকলে তার পূর্বে ‘ম্‘ না হয়ে ‘ন্‘ হয়। যেমন: দংশন = দন্+শন; এখানে ‘দংশন’ সন্ধিবদ্ধ পদের ২য় পদের ১ম বর্ণ উষ্মধ্বনি (শ) থাকায় পূর্বে ‘ম্’ না হয়ে ‘ন্’ হয়েছে, অর্থাৎ দংশন = দন্ + শন (দম্ + শন হবে না)। অনুরূপভাবে-হিংসা = হিন্ + সা,সিংহ = সিন্ + হ,জিঘাংসা = জিঘান্ + সা,বৃংহিত = বৃন্ + হতি।সূত্র: ভাষা প্রকাশ বাঙ্গলা ব্যাকরণ, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়; বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, জ্যোতিভূষণ চাকী; ব্যাকরণ মঞ্জরী, ড. মুহম্মদ এনামুল হকসতর্কতা ও সাবধানতা‘সম’ উপসর্গের ক্ষেত্রে উষ্মধ্বনির আগে ‘ন্’ বিষয়টি প্রযোজ্য নয়, সেক্ষেত্রে উপসর্গে ‘ম্’ থাকায় সন্ধিতেও ‘ম্’-ই থাকবে। উদাহরণ: সংসদ, সংসার, সংশোধন, সংশয়, সংহার ইত্যাদি। লক্ষ করুন, উদাহরণগুলোতে ‘ং’ এর পর উষ্মধ্বনি ‘স’, ‘শ’, ‘হ’—থাকলেও ‘সম’ উপসর্গের কারণে ‘ন’ না হয়ে ‘ম’ হয়েছে।সব কথার এক কথা: নিয়ম জানতে পারলেন এবং আত্মতৃপ্তি পেলেন, আলহামদুল্লিহ। এখন কথা হচ্ছে ৩ মাস বা ৬ মাস পরে পরীক্ষায় আসলে মনে থাকবে কিনা তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তাই সহজভাবে মনে রাখুন, দংশন, সিংহ, হিংসা, বৃংহতি—শব্দের বিচ্ছেদে ‘ন্’ হয়। শ্যাষ!!!

জাতীয় সমস্যা: ‘দ্বৈপায়ন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদে অয়ন নাকি আয়ন?
জাতীয় সমস্যা: ‘দ্বৈপায়ন’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদে অয়ন নাকি আয়ন?

দ্বৈপায়ন শব্দের সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো দ্বীপ + আয়ন। এখানে ‘আয়ন’ যুক্ত হওয়ায় আদিস্বর বৃদ্ধি পেয়ে ‘ঈ’ থেকে ‘ঐ’ হয়েছে।

বই ও কোর্স বিষয়ে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি?
WhatsApp